AI বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অন্যতম ভালো দিক হলো এর বিশাল তথ্য ভাণ্ডার, ও সেই তথ্যকে মানুষের জন্য উপকারী করে প্রসেস করার ক্ষমতা। আপনি কনটেন্ট তৈরির পুরো প্রক্রিয়ার অনেকগুলো ধাপেই এআই এর এই বিশাল ক্ষমতাকে ব্যবহার করতে পারেন—স্বয়ংক্রিয়ভাবে বা কাজকে আরও ভালোভাবে গুছিয়ে নিতে পারেন। নিচে কয়েকটি ধাপে এআই দিয়ে ব্লগ পোস্ট কীভাবে লেখা যেতে পারে এবং তা মানসম্মত হতে পারে, তার বিস্তারিত দেওয়া হলো:

০১. ব্লগ টপিক বাছাই করতে AI ব্যবহার করুন

কী বিষয়ে ব্লগ লিখবেন সেটি অনেক সময়ই সবচে’ কঠিন কাজে পরিণত হয়, মাথায় ভাল আইডিয়া আসে না। আপনি যদি একেবারে নতুন ব্লগার হন, এমনকি বহুদিনের অভিজ্ঞ ব্লগার হলেও হঠাৎ মাথায় ভালো আইডিয়া না আসে—তখন AI-কে কাজে লাগাতে পারেন টপিক খুঁজে বের করার জন্য।

তবে মনে রাখবেন, এই ধাপে পুরোপুরি AI-এর ওপর নির্ভর করা ঠিক হবে না। AI-এর সাহায্যে প্রাথমিক আইডিয়া নেওয়ার পর আপনাকে অবশ্যই নিজে হাতে কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে, যাতে আপনার কনটেন্ট সার্চ ইঞ্জিনে ভাল পারফর্ম করে।

ChatGPTGemini বেশ ভালো আইডিয়া জেনারেট করে। আপনি নিচের মতো প্রম্পট দিতে পারেন:

  • ➤ “আমাকে [বিষয়] নিয়ে লেখার মতো ১০টি ব্লগ আইডিয়া দাও”

  • ➤ “[কীওয়ার্ড]-সম্পর্কিত কয়েকটি ব্লগ আইডিয়ার লিস্ট দাও”

  • ➤ “গ্রীষ্মকালে [বিষয়]-সম্পর্কিত কী কী ট্রেন্ডিং টপিক থাকে?”

  • ➤ “[টার্গেট অডিয়েন্স]-এর মধ্যে বর্তমানে কী বিষয় জনপ্রিয়?”

কিন্তু AI যে হেডলাইন বা টপিক সাজেস্ট করছে, তা আপনার টার্গেট পাঠকের রুচি ও চাহিদার সঙ্গে মিলছে কিনা, সেটা যাচাই করতে ভুলবেন না। এই কাজে SEMrush-এর মতো SEO টুল কাজে আসবে। এগুলো দিয়ে আপনি সংশ্লিষ্ট কীওয়ার্ড খুঁজে পেতে পারেন, আর দেখতে পারবেন ওই টপিকটি সার্চ ইঞ্জিনে কতটা প্রতিযোগিতায় আছে।

০২. রিসার্চ বা তথ্য সংগ্রহে AI ব্যবহার করুন

ব্লগ লেখার সময় রিসার্চে অনেক সময় চলে যায়। আমরা সবসময় সতর্ক করি—AI দিয়ে করা রিসার্চের ওপর পুরোপুরি নির্ভর করবেন না। কারণ অনেক AI টুল পুরনো তথ্য দেয়, বা কখনো কখনো ভুল বা বানানো তথ্যও দিয়ে থাকে। তবে AI রিসার্চের একটা প্রাথমিক ভিত্তি দিতে পারে।

আমাদের পরীক্ষায় দেখা গেছে, Gemini এই দিক দিয়ে ChatGPT-এর চেয়ে একটু এগিয়ে, বিশেষ করে ফ্রি চ্যাটজিপিটির চে জেমিনি অনেক এগিয়ে ও আপডেটেড। উদাহরণস্বরূপ, আপনি Gemini-কে জিজ্ঞেস করতে পারেন:
👉 “সাম্প্রতিক ব্লগিং-সংক্রান্ত কিছু পরিসংখ্যান দাও এবং তাদের সূত্র বলো।”
এতে আপনি দ্রুত কিছু পরিসংখ্যান পেতে পারেন।

তবে আবারও বলছি—এই তথ্যগুলোর সততা ও আপডেট থাকা অত্যন্ত জরুরি। সব তথ্য নিজের হাতে যাচাই করে নিন।

আরেকভাবে AI রিসার্চে সাহায্য করতে পারে: ধরুন, আপনি একটি বড় রিসার্চ পেপার বা ইন্টারভিউ ট্রান্সক্রিপ্ট পড়েছেন, আপনি চাইলে AI-কে দিয়ে সেটির সংক্ষিপ্ত সারাংশ বের করতে পারেন, অথবা কোনো জটিল বিষয়কে সাধারণ ভাষায় ব্যাখ্যা করতে বলুন।
তবে মূল লেখকের নাম অবশ্যই উল্লেখ করবেন, এবং AI যা বলছে, তার সত্যতা যাচাই করাও প্রয়োজন।

০৩. ব্লগের জন্য রূপরেখা বা আউটলাইন তৈরি

একটি মাত্র প্রম্পট দিয়েই আপনি ChatGPT, Gemini-এর সাহায্যে ব্লগ লেখার আনুমানিক কাঠামো তৈরি করে নিতে পারেন।

আরেকটি উপায় হলো: আপনি চাইলে AI-কে জিজ্ঞেস করতে পারেন—
👉 “এই বিষয়ে লোকজন সাধারণত কী কী প্রশ্ন করে?”
👉 “এই টপিক নিয়ে লেখার সময় কোন কোন দিক সাধারণত কভার করা হয়?”
এতে আপনি নিজের জন্য একটা ভালো কাঠামো দাঁড় করাতে পারবেন।

তবে খেয়াল রাখবেন, AI যেটা আউটলাইন দিচ্ছে, সেটা চূড়ান্ত লেখা নয়। অনেক সময় সেখানে এমন কিছু অংশ থাকে যেগুলো আপনার পাঠকের জন্য তেমন দরকারি নয়। আপনি আপনার লেখার ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ, তাই যাচাই করে যেটা লাগবে সেটা রাখবেন, যেটা অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়, তা বাদ দেবেন।

০৪. কনটেন্ট লেখা শুরু করুন

কনটেন্ট লেখার সময় সময় বাঁচাতে AI সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে, আর এজন্যই এই ধাপে AI-এর সহযোগীতা সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। AI আপনার ব্লগ পোস্টের প্রথম ড্রাফট তৈরি করে দিতে পারে। এই ধাপে আপনি যত বেশি তথ্য দেবেন, আউটপুট তত ভালো হবে। তথ্য বলতে বোঝায়:

  • আপনি কোন ব্লগ টেমপ্লেট ব্যবহার করতে চান
  • কীভাবে ফরম্যাটিং করবেন
  • আপনার ব্র্যান্ডের লেখার গাইডলাইন—যেমন টোন, শব্দচয়ন, কাঠামো ইত্যাদি

ChatGPT-এর মতো টুল ব্যবহার করলে আপনি চাইলে আপনার আগের কিছু লেখা শেয়ার করতে পারেন। এতে AI আপনার লেখার স্টাইল শিখে সেই অনুযায়ী কনটেন্ট তৈরি করতে পারে।

আপনি নিচের যেকোনো উপায় দিয়ে নতুন পোস্ট বানাতে পারেন:

  • আপনার পছন্দের কোনো বিষয় বা টপিক বেছে নিয়ে
  • AI দ্বারা দেওয়া সাজেস্ট করা ব্লগ আইডিয়া থেকে
  • আপনি যেসব সার্ভিস বা সেবা দেন বা যে পণ্য বিক্রি করেন সেগুলোর ওপর ভিত্তি করে
  • আপনি যে ইভেন্ট আয়োজন করছেন, তার তথ্য থেকে

পোস্ট লেখার আগে আপনি আরও কিছু কাস্টমাইজেশন করে নিতে পারবেন—যেমন:

  • টার্গেট কীওয়ার্ড,
  • টার্গেট অডিয়েন্স,
  • পোস্টের ধরন ও দৈর্ঘ্য,
  • লেখার ভঙ্গি (tone of voice),
  • কয়টি ছবি থাকবে,
  • কোনো Call to Action (CTA) দরকার কি না।

সেকেন্ডের মধ্যেই AI আপনাকে একটি পরিপূর্ণ ড্রাফট বানিয়ে দেবে—তাতে থাকবে একটি সুন্দর শিরোনাম, মূল লেখার অংশ এবং এমনকি চিত্রসহ, যেগুলো পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে।
(মনে রাখবেন: যেগুলোতে কোনো ছবি নেই তার তুলনায় ভালো ইমেজসহ কনটেন্ট ৯৪% বেশি ভিউ পায়।)

০৫. AI কে আপনার প্রুফরিডার হিসেবে ব্যবহার করুন

আপনার ইংরেজি লেখা সম্পাদনা করার সময় AI-ভিত্তিক টুলগুলো যেমন Grammarly বা ProWritingAid ব্যবহার করে আপনি লেখায় ব্যাকরণগত ভুল, বানান সমস্যা বা ভাষাগত দুর্বলতা ধরতে পারেন। বাংলা আর্টিকেল লেখা সঠিক ডট কম-এ বানান ও ব্যকরণ শুদ্ধ করতে পারবেন। এআইকে লেখা দিয়ে যদি বলেন বানান ও ব্যকরণ শুদ্ধ করে সহজ ভাষায় রিরাইট করে দিতে, এআই সেটি করে দিবে।

তবে খেয়াল রাখবেন, এসব টুল মাঝে মাঝে অতিরিক্ত কড়া হয় এবং আপনার লেখার ভাব/context ঠিকভাবে না বুঝে ভুল ধরিয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে আপনি যদি কিছুটা সৃজনশীলভাবে লিখে থাকেন, তখন এরা অনেক সময় তা ভুল হিসেবে চিহ্নিত করে। তাই, সব সাজেশনকে একেবারে নিয়ম ধরে মানবেন না—যেটা যুক্তিযুক্ত, সেটাই বেছে নিন

আপনি চাইলে AI-কে বলতে পারেন:

  • এই বাক্যটি পুনর্লিখন করো
  • টোন বা ভঙ্গি বদলাও (উদাহরণ: আরও প্রফেশনাল/বন্ধুত্বপূর্ণ/সহজ করে দাও)
  • আপনার স্টাইল অনুযায়ী সেরা অপশনটি বেছে নিন এবং সেটিকে চূড়ান্ত লেখায় বসিয়ে দিন

আরও ভালো SEO নিশ্চিত করতে আপনি SEO Assistant ব্যবহার করতে পারেন।
এতে আপনি চেক করতে পারবেন—

  • alt text আছে কিনা,
  • ফোকাস কীওয়ার্ড ঠিকমতো ব্যবহার হয়েছে কি না,
  • meta description লেখা হয়েছে কি না।

AI-কে দিয়ে আপনি চাইলে আপনার title tagmeta description-ও তৈরি করিয়ে নিতে পারেন। আর আরও ডিটেইল বিশ্লেষণের জন্য Semrush-এর SEO Writing Assistant ব্যবহার করে কনটেন্টের পাঠযোগ্যতা ও মৌলিকতা (originality) যাচাই করতে পারেন।

ব্লগ লেখার জন্য সেরা কিছু AI টুল

ব্লগ লেখা শুরু করতে প্রস্তুত?
বর্তমানে বাজারে অনেক এআই ব্লগ রাইটিং টুল পাওয়া যায়, যেগুলোর প্রতিটিই ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য ও সুবিধা দিয়ে সাজানো। নিচে কিছু জনপ্রিয় ও কার্যকর এআই টুলের নাম ও তাদের ব্যবহারব্যবস্থা তুলে ধরা হলো:

Jasper AI

  • Jasper, যেটিকে আগে Jarvis নামে ডাকা হতো, একটি শক্তিশালী AI টুল যা বড় পরিসরের মার্কেটিং ক্যাম্পেইনে সহায়তা করতে পারে
  • আপনি যদি কোনো ব্র্যান্ড ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে ব্লগ লিখতে চান, Jasper আপনার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সেই ক্যাম্পেইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ব্লগ কনটেন্ট তৈরি করতে পারে।
  • এটি মূলত এন্টারপ্রাইজ বা বড় ব্যবসার জন্য উপযোগী।
  • ফ্রি সুবিধা নেই, তবে ট্রায়াল আছে।

ChatGPT-4o

  • এটি ChatGPT-এর সর্বশেষ ও সবচেয়ে উন্নত ভার্সন
  • ChatGPT-4o আরও বেশি বাস্তবসম্মত ও প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা তৈরি করতে সক্ষম।
  • এটি শুধু লেখা নয়, লিখিত টেক্সট ও ছবিও বুঝতে পারে এবং ছবি-সহ কনটেন্ট নিয়ে কাজ করতে পারে।
  • সেইসাথে, এতে আরও উন্নত বায়াস নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে, যাতে ভুল বা ক্ষতিকর কনটেন্ট তৈরির সম্ভাবনা কমে।

Gemini Pro

  • এটি গুগলের তৈরি একটি শক্তিশালী AI টুল, যা নিজেকে “সাধারণ সব কাজে সেরা পারফর্মার” হিসেবে দাবি করে।
  • Gemini 1.5 Pro ভার্সন বিশেষভাবে পরিচিত এর উন্নত প্রসঙ্গ-বোঝার ক্ষমতার জন্য।
  • আপনি Gemini Pro দিয়ে শুধু টেক্সট না, বরং ভিজ্যুয়াল, অডিও ও লিখিত কনটেন্ট বানাতে পারেন, যেটা কোনো লম্বা নির্দেশনা বা সোর্স ব্যবহার করেও তৈরি করা যায়।

Writer

  • Writer হলো একটি সম্পূর্ণ Generative AI প্ল্যাটফর্ম, যেখানে নির্দিষ্ট ইন্ডাস্ট্রির জন্য বিশেষ মডেল আছে।
  • Writer টুলটির বড় বৈশিষ্ট্য হলো: এটি নিয়মনীতি ও আইনগত মান বজায় রাখে—বিশেষত স্বাস্থ্যসেবা (healthcare)আর্থিক খাত (finance)–এ ব্যবহারের সময়।
  • তাই আপনি যদি এমন কোনো ইন্ডাস্ট্রির জন্য ব্লগ লিখতে চান যেখানে নিয়ম মেনে লেখা বাধ্যতামূলক, তাহলে Writer একটি নিরাপদ ও উপযুক্ত পছন্দ।

কখন এআই দিয়ে ব্লগ পোস্ট লেখা উচিত?

আপনি যেই ধরণের ওয়েবসাইট বা ব্লগই বানান না কেন, AI টুল ও ফিচারগুলো আপনার অনেক সময় বাঁচাতে পারে—বিশেষ করে আইডিয়া বের করা, লেখা, সম্পাদনা এবং SEO অপ্টিমাইজেশনের ক্ষেত্রে।

AI বিশেষভাবে কাজে আসে যখন আপনাকে নিয়মিত ও প্রচুর কনটেন্ট তৈরি করতে হয়। তবে মনে রাখবেন, পুরো কনটেন্ট মার্কেটিং কৌশল চালানোর দায়িত্ব AI-এর হাতে ছেড়ে দেওয়া ঠিক নয়। AI সাহায্য করতে পারে, কিন্তু মানুষকেই তদারকি করতে হবে। আপনি গবেষণার জন্য, বা দীর্ঘ ব্লগ লেখার সময় AI-এর সহায়তা নিতে পারেন।

উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি কয়েকটি ব্লগ টপিক ঠিক করে রাখেন এবং প্রতিটির জন্য একটা মোটামুটি আউটলাইন থাকে, তাহলে এআই খুব সহজেই আপনার ধারণাগুলোকে পূর্ণাঙ্গ ব্লগে রূপ দিতে পারে—বা কমপক্ষে ৭৫% কাজ করে দিতে পারে।

আপনি চাইলে একদম শুরু থেকে ব্লগ লেখা না শুরু করে এআই-কে দিয়ে ড্রাফট তৈরি করে তারপর তা সম্পাদনা করতে পারেন। এতে আপনি আপনার সময় ও শ্রম সেভ করতে পারেন এবং দরকারি জায়গায় মনোযোগ দিতে পারেন।

AI ব্যবহারের লক্ষ্য হলো:
কাজের গতি বাড়ানো, কিন্তু কনটেন্টের মান ও স্বাভাবিকতা (authenticity) ধরে রাখা

AI-কে সহযোগী হিসেবে ব্যবহার করুন, কিন্তু শেষ পর্যায়ের সম্পাদনা আপনার হাতে রাখুন—তাহলেই সবচেয়ে ভালো ফল পাবেন।

তবে, AI কেবল খসড়া লেখার কাজেই সীমাবদ্ধ নয়।

AI আরও অনেকভাবে আপনার ব্লগের মান বাড়াতে পারে। এখন একটু দেখে নেওয়া যাক AI ব্লগিংয়ে কীভাবে সহায়তা করতে পারে—বিশেষ করে Google ও SEO-এর দৃষ্টিকোণ থেকে:

গুগল এবং এআই দিয়ে ব্লগ পোস্ট লেখা

প্রথমত, Google এমন কনটেন্টকে গুরুত্ব দেয় যেটা ব্যবহারকারীদের কাজে লাগে। এই নীতিটি শুধু মানুষের লেখা কনটেন্টের জন্য না, AI-লিখিত কনটেন্টেও প্রযোজ্য। শর্ত হলো: কনটেন্টটি তথ্যসমৃদ্ধ ও পাঠককে আকৃষ্ট করার মতো হতে হবে, সেটা AI লিখুক বা মানুষ লিখুক।

AI অনেক সময় তথ্যভিত্তিক কনটেন্ট তৈরি করতে পারে, কিন্তু মানুষের মতো গভীর বোঝাপড়া বা বাস্তব অভিজ্ঞতার ছাপ সেখানে নাও থাকতে পারে। সেজন্য Google বলে:

  • AI কনটেন্ট হলেও সম্পাদনায় মানুষের হাতের ছোয়া থাকতে হবে
  • মানুষ প্রয়োজনীয় প্রসঙ্গ, সৃজনশীলতা ও বাস্তব জ্ঞান যোগ করতে পারে, যেটা কেবল AI দিতে পারে না।

Google-এর গাইডলাইন অনুযায়ী, যে কনটেন্ট পুরোপুরি AI দিয়ে লেখা হয়েছে এবং তাতে মানুষের কোনো অংশগ্রহণ নেই, তা হলে সেটি সেইভাবে চিহ্নিত করা উচিত—স্বচ্ছতার স্বার্থে।

সর্বোপরি, Google এমন কনটেন্টকেই বেশি গুরুত্ব দেয়, যেটা মানুষের জন্য লেখা হয়েছে, সার্চ ইঞ্জিনের জন্য নয়। আর এমন লেখা প্রকাশ করলে এডসেন্স থেকে আয়ের সুযোগ থাকে।
তাই যদি আপনি AI ব্যবহার করে শুধু সার্চ র‍্যাংক বাড়ানোর উদ্দেশ্যে কনটেন্ট তৈরি করেন, তাহলে তা Google-এর spam নীতিমালায় আটকে যেতে পারে।

শেষ কথা:

  • AI দিয়ে ব্লগ লেখা যায়, তবে মানুষের অংশগ্রহণ, যাচাই ও রিফাইনমেন্ট থাকা চাই।
  • Google চায় উপকারী কনটেন্ট, সেটা AI হোক বা মানুষের লেখা।
  • AI দিয়ে খসড়া তৈরি করুন, কিন্তু চূড়ান্ত সম্পাদনা এবং মূল্য সংযোজন করুন নিজেই।
Put Your Opinion